চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তরুণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দুই দেশের বন্ধুত্বের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘আশার সেতু’।
এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের বর্তমানকে লালন করতে এবং নিয়মিত অধ্যয়ন করতে উৎসাহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তাদের কেবল পেশাদার কোর্সই নয়, চীনা ইতিহাস ও সংস্কৃতিও শিখতে হবে। তাদের কেবল বিভিন্ন লেকচারে অংশ নিলেই হবে না, বরং বিভিন্ন ক্ষেত্র ঘুরে দেখতে হবে এবং তাদের আরও চীনা বন্ধু তৈরি করা উচিত।’
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় চীনের দূতাবাসে ২০২৩ চীনা সরকারি বৃত্তি (সিজিএস) প্রাপ্তদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শাখার মহাপরিচালক তৌফিক হাসান এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (এবিসিএ) প্রধান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বাংলাদেশি বৃত্তিপ্রাপ্তদের সিজিএস ভর্তিপত্র প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে এবিসিএ’র প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়েরই দীর্ঘ ইতিহাস ও চমৎকার সংস্কৃতি রয়েছে এবং প্রাচীনকাল থেকেই ভালো প্রতিবেশি ও বন্ধু।
এ বছর আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের প্রাক্কালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনকে লেখা এক চিঠিতে তাকে পড়াশোনা, তার স্বপ্ন পূরণ, সমাজে অবদান রাখা এবং দেশের সেবা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আন্তরিক ইচ্ছা হচ্ছে বাংলাদেশের সকল তরুণ-তরুণী ও চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যত।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি