অনলাইন ডেস্ক :
তাইওয়ানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিনিধি সান্দ্রা কোয়াডকির্ক বলেছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়াশিংটন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক ‘ইস্পাত-কঠিন’। গত জুলাইতে নিয়োগ পাওয়ার পর শুক্রবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তাইওয়ানের আমেরিকান ইনস্টিটিউটের প্রধান সান্দ্রা কোয়াডকির্ক। আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় এই ইনস্টিটিউট তাইওয়ানে আমেরিকান দূতাবাসের কাজ করে থাকে। কোয়াডকির্ক বলেন, ‘তাইওয়ানের আত্মরক্ষায় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’ চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা চলার মধ্যে মার্কিন প্রতিনিধি এমন মন্তব্য করলেন। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে বলপ্রয়োগে হলেও নিজেদের অধীনে রাখতে চায় চীন। গত কয়েক সপ্তাহে এই উত্তেজনা বেড়েছে। অন্য অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকলেও তারাই তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সহায়তাকারী এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। বেইজিংয়ের প্রতি ক্ষোভ থেকে ওই সমর্থন আরও জোরালো করার পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।চীন আক্রমণ করলে তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে কিনা জানতে চাইলে কোয়াডকির্ক বলেন, তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নীতি স্পষ্ট এবং অপরিবর্তনীয় রয়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় বেশ কয়েকটি মার্কিন আইন রয়েছে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনা যুদ্ধবিমান মহড়া দিয়েছে। একে চীনা হয়রানি বলে মনে করে তাইপে। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে জাতিসংঘ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে পরীর পাহাড়ে ধস ও ফাটল, পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল
সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ হাজার বাড়িঘর, গৃহহীন ৩০ লক্ষাধিক মানুষ
বিয়ানীবাজারে বন্যায় যান চলাচল সীমিত, ইচ্ছেমত ভাড়া আদায়