জেলা প্রতিনিধি :
নীলফামারীতে ফের তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে করে জেলার ডিমলা উপজেলার ১০টি চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের বিপৎসীমা হলো ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর রাত ৯টায় আরও ২ সেন্টিমিটার বেড়ে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটারে আসে। এর আগে সকাল ছয়টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বিকেল তিনটায় চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ৯ জুলাই রাতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এতে করে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরদিন পানি বিপৎসীমার নিচে নামলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে গত বুধবার তা অব্যাহত থাকে। গত বৃহস্পতিবার ওই পয়েন্টে নদীর পানি ফের বিপৎসীমা অতিক্রম করে। ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খাঁন জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে তার ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই গ্রামসহ ছয়টি ইউনিয়নের ১০টি চরগ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ী মৌজার ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সঞ্চয়পত্রে বাড়ছে না নতুন বিনিয়োগ
১৪৯৮ টাকার ১২ কেজি এলপিজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকায়: ডিএসসিআরপি
ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত