নিজস্ব প্রতিবেদক:
তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে বাংলাদেশের। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ০৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের এই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ২৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশ করা পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এই পরিসংখ্যানে চলতি অর্থবছরের (২২-২৩) জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে নিটওয়্যার খাত থেকে এসেছে ১৭ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। ওভেন খাত থেকে আয় হয়েছে ১৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। নিটওয়্যার খাতে প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ওভেন খাতে প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এ বিষয়ে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ওভেন খাতে নিটওয়্যার থেকে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালের একই মাসের তুলনায় ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, যদিও আমরা শেষ কয়েক মাস ধরে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় ধরে রাখতে পারছি, তবুও আমরা যেটি বলে আসছিলাম যে, ক্রয়াদেশ কিন্তু কমছে। এর প্রভাবে সর্বশেষ ৩ মাসে এটি ৪ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, যদি আমরা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের সঙ্গে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনা করি, তাহলে দেখতে পাব যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে, যদি আমরা একই বছরের সর্বশেষ মাসের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে দেখব কমেছে। বিজিএমইএর এই পরিচালক বলেন, এই কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো ২০২৩ সালে মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেটারই প্রভাব আমরা দেখতে শুরু করেছি, যে আশঙ্কা আমরা আগেই করেছিলাম। ফ্যাক্টরিগুলোতে নতুন ক্রয়াদেশ কমেছে, যদিও নতুন-নতুন বাজারের কিছু ক্রেতা পাওয়ায় আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি