October 8, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, March 3rd, 2023, 9:30 pm

দক্ষিণাঞ্চলের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অর্ধেক পদই ফাঁকা

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের অর্ধেক পদই ফাঁকা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের ১ হাজার ৮০৭টি পদের বিপরীতে ৮২১টিই ফাঁকা রয়েছে। শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের দাবির প্রতিকার না হওয়ায় চিকিৎসক নেতারাও ক্ষুব্ধ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বরিশাল বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট এক হাজার ৮০৭ জন চিকিৎসক পদের বিপরীতে আছে মাত্র ৯৮৬ জন। ৮২১ জন চিকিৎসকের পদই ফাঁকা। তার বরিশালে ৭৮০ পদের মধ্যে শূন্য ৩১৫টি, পটুয়াখালীতে ২৫৯ পদের বিপরীতে শূন্য ১৪১টি, ভোলায় ২৪৭টির বিপরীতে শূন্য ১১৮টি পদ, পিরোজপুরে ১৯২টির মধ্যে শূন্য ৭৭টি, বরগুনায় ১৮৬ পদে শূন্য ১০১টি এবং ঝালকাঠিতে ১৪৩টির মধ্যে শূন্য ৬৯টি পদ। সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেখানে রোগীর শয্যা সংখ্যা এক হাজার হলেও প্রতিদিন এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার রোগী ভর্তি থাকে। আর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন তিন হাজারেরও বেশি। সেখানে ৫২৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ২৯৮ জন। হাসপাতালটিতে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে বারান্দা বা মেঝেতেই চিকিৎসা নেন বেশির ভাগ রোগী। চিকিৎসক সংকটের কারণে সেখানে কাক্সিক্ষত সেবা পুরোপুরি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র আরো জানায়, একজন চিকিৎসককে দিয়ে চারজন চিকিৎসকের কাজ করানো সম্ভব নয়। দ্রুত দক্ষিণাঞ্চলের চিকিৎসকের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া না হলে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে। হাসপাতালে মূলত মিড লেভেলের চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। চিকিৎসক সংকটের সমস্যাটা অনেক দিনের। এ বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক বাদে বরিশাল বিভাগে মোট ১২৫টি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। ওসব হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কথা হয়েছে। অধিদপ্তর দ্রুত চিকিৎসক সঙ্কট দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।