October 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, October 23rd, 2022, 11:17 am

দাগনভূঞায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী (দাগনভূঞা) :
ফেনীর দাগনভূঞায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্র আলেয়া বেগমের (৩৫) কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কামাল উদ্দীন নামের এক আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের চন্দ্রদীপ গ্রামের সারাফত আলী মুন্সী বাড়ীর আব্দুল মালেকের মেয়ে।
অভিযুক্ত কামাল উদ্দীন একই গ্রামের রৌশন আলী ভূঞা বাড়ীর জহুর আহমদের ছেলে। এবং সে পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য।
আলেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী বেঁচে নেই। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার বাড়িতেই ২ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে বসবাস করছি। আমার কোন জায়গা জমি নেই। বাবার বাড়িতে ছোট একটি কুড়ে ঘরে বসবাস করছি। সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীন ভ‚মিহীনদের গৃহপ্রদান করছেন এমন সংবাদ শুনে আমি একটি ঘর পাওয়ার জন্য অনেকের দ্বারস্থ হই । এ সময় স্থানীয় আ’লীগ নেতা কামাল উদ্দীন একটি ঘর পাইয়ে দেয়ার আশ^াস প্রদান করেন। ঘর পাইতে হলে আমাকে কিছু টাকা দিতে হবে বলে সে জানায় এবং আমার কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ করে ৬২ হাজার টাকা দেই একটি ঘর পাওয়ার আশায়। জানতে পারি যে এ ঘর পাইতে কোন প্রকার টাকা লাগেনা। পরে আমি এ বিষয়ে সমাজবাসীদের জানালে তারা কামালকে ডেকে দ্রুত টাকা ফেরৎ দিতে দিতে বলেন। কিন্তু সমাজের কারো কোন কথা তোয়াক্কা না করে সে অধ্যবধি কোন টাক ফেরৎ দেয়নি। গত শনিবার সাংবাদিকরা আমার বাড়ীতে আসার পর থেকে কামাল ও তার সহযোগীরা আমাকে বিভিন্ন প্রকার চাপ দিতে থাকে। আমি যাতে কাউকে টাকার কথা না বলি। এমতাবস্থায় আমার একটাই দাবি আমি ঘর চাইনা টাকা ফেরৎ চাই। আমি ভূমিহীন হয়েই থাকবো।
এবিষয়ে সমাজসেবক নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সামাজিকভাবে বৈঠকে বসে কামালকে দ্রুত আলেযার টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত কামাল উদ্দীন জানান, আমি কোন টাকা নিইনি। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর জন্য অপ্রপচার করিতেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেব।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এক ব্যক্তি বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে উক্ত বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, উক্ত বিষয়ে ভূক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।