December 4, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, July 29th, 2022, 9:32 pm

দাম কমেনি, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সবধরনের নিত্যপণ্য

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদের আগে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচ এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। তবে কিছুটা কমেছে ইলিশের দাম, সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এদিকে, কাঁচা মরিচের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। সবজির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। সেই সঙ্গে আলু, পেঁয়াজের দামেও পরিবর্তন আসেনি। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচের পোয়া ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে এক কেজি বা আধা কেজি নিলে দাম কিছুটা কম রাখা হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. আতাউর বলেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম কমছে না। কাঁচা মরিচের দাম আরও কয়েকদিন এমন চড়া থাকবে। এদিকে, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। ইলিশের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সুবল চন্দ্র বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। সামনে দাম আরও কমতে পারে। মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। মুরগির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের। এক ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবজিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শিম আসতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন এ সবজিটি। এক কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া গাজর ১৩০-১৪০ টাকা ও পাকা টমেটো ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজর ও টমেটোর দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা বেড়েছে বরবটির দাম। গত সপ্তাহে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি এখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকায়, কাকরোল ৫০-৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, পটল ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় আরও রয়েছে করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, কাঁচকলা। করলা ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজিও ৪০-৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী ফরহাদ বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। সহসা সবজির দামে খুব একটা পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাও কম। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। শিং ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। ঈদের পর এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।