July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, October 15th, 2023, 8:48 pm

দীর্ঘ সময়ের পথচলার কথা স্মরণ করলেন শাবনূর

অনলাইন ডেস্ক :

ঢালিউড কুইন শাবনূর। সাবলীল অভিনয়ের নৈপুণ্যতায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রুপালি জগতের লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের মধ্য দিয়ে জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে দর্শকনন্দিত এই নায়িকা। ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেব শাবনূর। যা আজও দাগ কেটে আছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। সেই ক্যারিয়ারের পথচলার তিন দশক পূর্ণ করেছেন এই নায়িকা। রোববার (১৫ অক্টোবর) চলচ্চিত্রজীবনের দীর্ঘ এই সময়ের পথচলায় তার প্রথম দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছেন শাবনূর। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রের সব প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, চিত্রনাট্যকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, ক্যামেরাম্যান, সিনেমার সঙ্গে জড়িত কলাকুশলীসহ দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

পাঠকদের সুবিধার জন্য শাবনূরের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘সবার ভালোবাসায় চলচ্চিত্রজীবনের পথচলায় তিন দশক পার করে দিলাম, আলহামদুলিল্লাহ। স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশাম দাদুর ‘‘চাঁদনী রাতে’’ ছবির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর আমার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রথম এই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন নায়ক সাব্বির। আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অনেক গুণী পরিচালকের ছবিতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।’ ‘তিন দশকে দর্শকের ভালোবাসার পাশাপাশি শাবনূর পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। এ নিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘‘দুই নয়নের আলো’’ (২০০৬) ছবিটি আমাকে এনে দিয়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সম্মান। তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছি।

এ ছাড়া তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করি।’ ‘প্রবল দর্শকচাহিদার জন্য প্রযোজক-পরিচালকেরা আমাকে নিয়ে ছবি নির্মাণে অত্যন্ত আগ্রহী হওয়ায় আমার পক্ষে ১৫৮টি ছবির বিশাল মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে। যেসব চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, তার মধ্যে ব্যবসাসফল ও দর্শক-সমালোচক জরিপে অন্যতম সেরা ছবিগুলো হলো-স্বপ্নের ঠিকানা, স্বপ্নের পৃথিবী, স্বপ্নের নায়ক, তোমাকে চাই, তুমি আমার, আনন্দ অশ্রু, প্রেম পিয়াসী, সুজন সখী, জীবন সংসার, মহামিলন, বিক্ষোভ, চাওয়া থেকে পাওয়া, বিচার হবে, দুই নয়নের আলো, নিরন্তর, মোল্লা বাড়ির বউ, বিয়ের ফুল, নারীর মন, শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ, নিশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি, সুন্দরী বধূ, ফুল নেব না অশ্রু নেব, প্রেমের তাজমহল, পৃথিবী তোমার আমার, কাজের মেয়ে, বস্তির মেয়ে, মধুর মিলন, বুক ভরা ভালোবাসা, স্বপ্নের বাসর, ও প্রিয়া তুমি কোথায়, স্বপ্নের ভালোবাসা, তোমার জন্য পাগল, চার সতিনের ঘর, আমার স্বপ্ন তুমি, আমার প্রাণের স্বামী, এক টাকার বউ, তুমি শুধু তুমি, কঠিন প্রেম, ঢাকাইয়া পোলা বরিশালের মাইয়া, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ প্রভৃতি।

আসলে আমার অভিনীত প্রতিটি ছবিই আমার কাছে প্রিয়।’ ‘সহশিল্পীদের মধ্যে প্রয়াত সালমান শাহর সাথে আমার জুটি ছিল সব থেকে বেশি দর্শকপ্রিয়। সালমানের অকালমৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাত্র চার বছরে আমি ও সালমান সর্বাধিক ১৪টি দর্শকনন্দিত ও ব্যবসাসফল ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছিলাম। আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে আরও যেসব সহশিল্পীর অবদান অনেক বেশি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রয়াত মান্না ভাই, ওমর সানী, বাপ্পারাজ, আমিন খান, অমিত হাসান, রিয়াজ আহমেদ, ফেরদৌস আহমেদ, শাকিল খান, শাকিব খান প্রমুখ।’

‘আল্লাহর রহমত ও সবার দোয়ায় চলচ্চিত্রে এখনো যথেষ্ট সম্মান নিয়েই বেঁচে আছি। আমার অভিনয়জীবনের দীর্ঘ ৩০ বছরের পথচলায় চলচ্চিত্রের সব প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, চিত্রনাট্যকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, ক্যামেরাম্যান এবং ছবির সঙ্গে জড়িত কলাকুশলীসহ সবার কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ ও ঋণী। বিশেষ করে আমার ছবির দর্শক ও অগণিত ভক্তের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আজকের শাবনূর।’ ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে সর্বক্ষণ উপলব্ধি করছি আমাকে নিয়ে তাঁদের ভালোবাসা আজও বদলায়নি বরং বেড়েই চলেছে। আমার প্রতি আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ভবিষ্যতেও আশা করি অব্যাহত থাকবে। আমি সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার প্রতি আপনারা প্রায় সবাই যেভাবে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আমাকে এত দূর এগিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আজকের এই বিশেষ দিনে রইল সবার প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা, সবার প্রতি অনেক শুভকামনা।’