October 9, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, September 1st, 2023, 3:25 pm

দুই বছরেও শেষ হয়নি লালাবাজারের চৌমুহনীর ব্রীজের নির্মাণ কাজ

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

সিলেটের দক্ষিন সুরমা ঊপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের বাঘরখলা হকিয়ারচর চৌমুহনী ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি দুই বছরেও। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধ পথচারীসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘ দিন যাবত এ অবস্থা চলতে থাকায় এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভর শেষ নেই। সেতু নির্মাণ হলে তাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমবে বলে স্হানীয়রা ধারনা করলেও এর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় উল্টো জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে এই ব্রীজের কাজ শুরু হলেও গেল বছরের ভয়াবহ বন্যায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরি কাজ বন্ধ রেখে চলে গেলে সম্পন্নভাবে বন্ধ হয়ে যায় ব্রিজ নির্মাণের কাজ। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ‘কালভার্ট মেরামত ও সংরক্ষণ এর আওতায় সিলেট জেলার কালভার্ট পুনর্বাসন স্কিম অনুমোদনে ৫০,৮৩,০৫০.০০ (পঞ্চাশ লক্ষ তিরাশি হাজার পঞ্চাশ) টাকায় অনুমোদন করে ব্যয় ধরা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ সেতুর নির্মাণকাজ ঠিকমতো তদারকি করে না। আর এই সুযোগ নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, তারা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে না। এতে দুই পাড়ের মানুষ পারাপারে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধ পথচারীসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই বছর আগে শুরু হওয়া সেতুর নির্মাণ কাজে কর্তৃপক্ষের তদারকির ঠিকমতো না করার সুযোগ নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাই দুই বছরে শেষ হয়নি ব্রিজটির নির্মাণ কাজ। আর ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ব্রিজটি কাজ আজও আটকে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, লালাবাজার, নাজির বাজার, জালালপুর কেন্দ্রবিন্দু হল এই সেতু কিন্তু। এখানে যে সেতু ছিল তা চলাচলের মোটামুটি উপযোগী ছিল কিন্তু তড়িঘড়ি করে পুরাতন সেতু ভেঙে কাজ শুরু হয় নতুন সেতুর। তবে আজ আড়াই বছর পরেও সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া বাঘর খলা, দশহাল, হকিয়াচড, জাফরাদ, মোল্লার বন্দ এলাকার লোকজন কষ্ট করে চলাচল করছেন।

এ ব্যাপারে লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন বলেন, বর্তমানে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মাননীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি কাজ দ্রুত শুরু হবে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে তিনি আশ্বস্ত করেন।