নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পাল্টা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (৩০ অক্টোবর) মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন নাজমুল হুদা অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি বলে জানান তার আইনজীবী। তিনি সময়ের আবেদন করেন। একই সঙ্গে নাজমুল হুদা মামলার বৈধতা বিষয়ে উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য থাকায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে, গত ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে, গত ৭ অক্টোবর অভিযোগপত্র অনুমোদন করে কমিশন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেওয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগ করে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন নাজমুল হুদা। মামলার অভিযোগপত্রে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে ‘ডিসমিস’ করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ‘ডিসমিস’ করতে ২ কোটি টাকা এবং আরও আড়াই কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সিনহা। তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক। মিথ্যা অভিযোগ করায় গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। মামলার বিষয়ে দুদকের তৎকালীন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
আরও পড়ুন
কোটা আন্দোলন: র্যাবের হেলিকপ্টারে করে কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার
কোটা সংস্কারে নীতিগতভাবে একমত, আলোচনায় বসতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
দেশজুড়ে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন