নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের অধিকাংশ হাসপাতালেই লাইফ সার্পোটের ব্যবস্থা নেই। মাত্র মাত্র ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ হাসপাতালে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য হাসপাতালে গড়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ শয্যা থাকা জরুরি। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের শয্যা মিলে ওই হার এখন শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি হাজার মানুষের জন্য হাসপাতাল শয্যা একটির নিচে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা ও করুণ পরিস্থিতির তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএস সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ১ লাখ ৫ হাজার ১৮৩টি শয্যা রয়েছে। ওসব শয্যার মধ্যে সাধারণ ৬৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, নন-এসি একক শয্যা কেবিন ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, নন-এসি দুই শয্যা কেবিন ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এক শয্যার এসি কেবিন ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং দুই শয্যার এসি কেবিন ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশে বেসরকারি ক্লিনিক, ডেন্টাল ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল মিলে জনস্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৬ হাজার ৯৭৯টি। ওসব হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা আছে। আর উন্নত লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা আছে মাত্র ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ হাসপাতালে।
সূত্র জানায়, বিগত কয়েক বছরে বেসরকারিভাবে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যার সংখ্যা বেড়ে প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ৬৪টি হয়েছে। আর সরকারি হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা গড়ে শূন্য দশমিক ৩২টি। তাছাড়া প্রতি একজন চিকিৎসকের (ডেন্টাল সার্জন বাদ দিয়ে) বিপরীতে মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ জন সেবিকা রয়েছে। আর ডেন্টাল সার্জনদের অন্তর্ভুক্ত করলে প্রতি একজন চিকিৎসকের বিপরীতে সেবিকার সংখ্যা শূন্য দশমিক ৮৩ জন। শয্যা ও সেবিকার অনুপাত প্রতি ৩ দশমিক ৪৭টি বা প্রায় চারটি শয্যার জন্য একজন সেবিকা দায়িত্ব পালন করছে।
সূত্র আরো জানায়, দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ৩০ জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮০ জন কর্মী নিয়োজিত ছিল। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৪১ জন বা ৮৫ দশমিক ৭২ শতাংশ পূর্ণকালীন এবং ৫২ হাজার ৬৩৯ জন বা ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ খ-কালীন। নিয়োজিত মোট জনবলের মধ্যে হাসপাতালে ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ৩৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ক্লিনিকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। আর ডেন্টাল ক্লিনিকে নিয়োজিত জনবল ১ দশমিক ১৯ শতাংশ।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, জরিপে নানা কারণে প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ যে হিসাব দেয়, সেগুলোই হিসাবে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেছনে বেসরকারি হাসপাতালগুলো আসলে কত ব্যয় করে তার সঠিক তথ্য নাও উঠে আসতে পারে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম