October 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, June 11th, 2023, 9:43 pm

দেশে এবার কোরবানির পরিমাণ বাড়লেও পশুর ঘাটতির শঙ্কা নেই

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে কোরবানির চাহিদার অতিরিক্ত পশু উৎপাদন হয়েছে। ফলে নির্বাচনী বছর হিসেবে কোরবানির পরিমাণ বাড়লেও পশুর সঙ্কটের শঙ্কা নেই। তবে এবার দাম এখন পর্যন্ত কিছু বেশি। গত বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। এর মধ্যে প্রায় এক কোটি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছিল। এবার নির্বাচনী বছর হওয়ায় চলতি বছর কোরবানির পশুর সংখ্যা চার-পাঁচ লাখ বাড়তে পারে। ওই হিসেবে এবার ১ কোটি ৫ লাখ পশুর চাহিদা হতে পারে। তবে এর চেয়েও প্রায় ২০ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। পশু খামারি এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার কোরবানির পশুর দামের ওপর এর প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত দামের কারণে কোরবানি দেওয়ার সংখ্যা কমে যেতে পারে। তাছাড়া অবৈধ পথে দেশে গরু ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে দেশে গরু ঢুকতে শুরু করেছে এবং ওসব গরু দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি লোকসানের মুখে পড়তে পারে দেশীয় খামারিরা। সূত্র জানায়, বিগত ২০২২ সালে দেশে ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর প্রায় সাড়ে আট লাখ পশু বেশি কোরবানি হলেও এ বছর পশুর অতিরিক্ত দামের কারণে কোরবানির পরিমাণ কতকুটু বাড়বে কিংবা আদৌ বাড়বে কিনা তা নিয়ে খামারিদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে। এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ। এ হিসেবে, কোরবানির পরিমাণ না বাড়লে অবিক্রীত পশুর পরিমাণ বাড়বে।

তবে তথ্য বলছে, করোনার আগে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ধারাবাহিকভাবে দেশে কোরবানির পরিমাণ বেড়েছে। এরমধ্যে ২০১৯ সালে দেশে ১ কোটি ৬ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়। এদিকে ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কোরবানির পশু বিক্রেতা বা খামারি পর্যায়ে কেউ যেন অযথা হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন, সেজন্য জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯ যুক্ত করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে প্রাণিসম্পদ সচিব। এর বাইরে অন্য কোনো হটলাইন নম্বর যুক্ত করার প্রয়োজন থাকলে তা ১৪ জুনের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে পশুখাদ্যের দাম কমানোর বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার জানান, পশুখাদ্যের দাম কমানোর চেষ্টা অব্যাহত অব্যাহত রয়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর ঘাস উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দুই-তিন মাস পর থেকে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরো কমে আসবে।