November 3, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 2nd, 2023, 7:44 pm

দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার

ফাইল ছবি

এক সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।

দেশে শুধুমাত্র গত দুই মাসে (নভেম্বর ও ডিসেম্বর) রপ্তানি থেকে ১০ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা দুই মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মতে, ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা একমাসের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ও।

২০২২ সালের নভেম্বরে রপ্তানি আয় প্রথমবারের মতো ৫ বিলিয়ন অতিক্রম করে। ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

রপ্তানি আয়ে যথারীতি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক।

তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় ডিসেম্বরে বছরে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এক ইউনিটের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিসেম্বরে পোশাক খাতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

তিনি বলেন, ভালো দাম এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিলাস বহুল পণ্যের অনুপাত বৃদ্ধির কারণে পোশাক খাতের অবদান বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশে কারখানাগুলো চালু রাখার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্ডার পেয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পোশাক নির্মাতারা প্রতি পিস ৪০ ডলারের বেশি দামে জ্যাকেট রপ্তানি করছে, যা আগে ছিল ৩০ ডলার।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার এবং ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। পোশাক খাতের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য জুলাই মাসে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছরে ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ আগস্টে রপ্তানির মাধ্যমে ৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।

সেপ্টেম্বরে এটি গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন হয়েছে। কেননা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে পোশাকের অর্ডার কমে যায়।

—-ইউএনবি