October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, July 27th, 2023, 9:42 pm

দেশে মাছের উৎপাদন বাড়লেও আশানুরূপ রপ্তানি বাড়ছে না

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে মাছের উৎপাদন বাড়লেও আশানুরূপ রপ্তানি বাড়ছে না। স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু রপ্তানিতে অবস্থান ২১তম। এক যুগে মাছের উৎপাদন ৮৫ শতাংশ বাড়লেও দাম নাগালের বাইরে। রপ্তানি বাধা দূর করতে সরকার এখন নিরাপদ মাছ উৎপাদনে জোর দিচ্ছে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে মাছ উৎপাদন হয়েছে ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ টন, যা ২০০৭-০৮ অর্থবছরের মোট উৎপাদন ২৫ দশমিক ৬৩ লাখ টনের চেয়ে ৮৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের চাহিদা ৬০ গ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭.৮০ গ্রাম।

চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও মাছের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। দাম বাড়ার কারণ নিয়ে চাষিরা বলছেন, মাছের খাবার, ওষুধ ও পরিবহন খরচ বেড়েছে। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর ভরতে হচ্ছে সেচের পানিতে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তার কাছে কম দামে মাছ বিক্রি করা যাচ্ছে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান ধরে রাখলেও সেরা ১০ রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য ৫২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, ফ্রান্স, আমেরিকা, জাপান, রাশিয়া অন্যতম। বৈশ্বিক আর্থিক মন্দায়ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯ দশমিক ৮৮ হাজার টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকার পরও দেশে কোনো প্রতিষ্ঠানই মাছ দিয়ে সেভাবে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি করছে না। চাহিদার চেয়ে মাছের উৎপাদন বেশি হলেও কেবল চিংড়িই প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে, তাও শুধু রপ্তানির জন্য। রপ্তানির জন্য সঠিক পদ্ধতিতে নিরাপদ মাছ উৎপাদন করা জরুরি।

এ ব্যাপারে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আর রপ্তানির বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখে থাকে। এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, রপ্তানিযোগ্য মাছ ও মাছের পণ্য ট্রেসেবিলিটি পদ্ধতি কার্যকর করার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার চিংড়ি খামার এবং ৯ হাজার ৬৫১টি বাণিজ্যিক মৎস্য খামারের রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি চিংড়ি চাষিদের নিয়ে ৩০০টি ক্লাস্টার গঠন করে ই-ট্রেসেবিলিটি কার্যক্রম পাইলটিং করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে নিরাপদ ও মানসম্মত চিংড়ি উৎপাদন নিশ্চিত করতে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ম্যানুয়াল’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘অ্যাকোয়াকালচার মেডিসিনাল প্রোডাক্টস নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা’ মাঠ পর্যায়ে চাষিদের দেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে আগামীতে মাছ রপ্তানি বাড়বে।