অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় হুবহু আইপিএলের মতোই চললো একটি টুর্নামেন্ট। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ান জুয়াড়িদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। ‘নকল আইপিএল’ করা এই চক্রকে গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ। পুলিশের কাছে ধরা পড়ার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত চলেছে এই ‘নকল আইপিএল’। মে মাসে আইপিএল শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ পর নকল টুর্নামেন্টটি শুরু হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গুজরাটের একটি দূরবর্তী খামারে চলে এই নকল আয়োজন। খামারের শ্রমিক- বেকার যুবকদের আইপিএল দলগুলোর হুবহু জার্সি পরিয়ে এই নাটকে অংশ নিতে বলা হয়। ব্যবহার করা হয় ক্রিকেট পিচ, বাউন্ডারি লাইনসহ হ্যালোজেন ল্যাম্প। পুলিশ কর্মকর্তা ভবেশ রাঠোর বলেছেন, ‘ওরা মাঠে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা ব্যবহার করেছিল। পাশাপাশি লাইভ স্ট্রিমের জন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে ব্যবহার করে নানা গ্রাফিকস।’ ওই পুলিশ আরও জানান, এসব কাজের জন্য বেকার যুবক ও শ্রমিকদের প্রতিটি ম্যাচের জন্য দেওয়া হত ৪০০ রুপি। আর ম্যাচগুলোও সম্প্রচার করা হতো ইউটিউবের মাধ্যমে। যে চ্যানেলটির নাম ছিল আইপিএল। পুলিশ জানিয়েছে, ওরা কাজ করতো রাশিয়া ভিত্তিক একজন মাস্টার মাইন্ডের দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে। ওই সময় ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা মাঠের দর্শকদের উচ্চশব্দ ব্যবহার করা হতো ধোঁকা দেওয়ার জন্য। আর কৌশলে দেখানো হতো শুধু খেলোয়াড়দের ক্লোজ আপ। আয়োজনে ছিল হুবহু আইপিএল ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠ নকল করার লোকও। এই প্রতারকদের ফাঁদেই পা দেন রাশিয়ান জুয়াড়িরা। ওই প্রতারকরা টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের এই কাজটি পরিচালনা করেছেন। এসব তথ্য আবার মাঠে দাঁড়ানো নকল আম্পায়াররা পেয়ে যেতেন ওয়াকিটকির মাধ্যমে। তখন ওই আম্পায়াররা চার, ছয় বা উইকেটের জন্য বোলার বা ব্যাটারকে ইশারায় সেটি জানিয়ে দিতেন। ভবেশ রাঠোর জানিয়েছেন, ওই চক্রটি নকল আইপিএল করে প্রথম কিস্তিতে ৩ লাখ রুপির বেশি হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা