অনলাইন ডেস্ক :
সিনেমা হল সংস্কার ও নতুন ২৩ টি সিনেপ্লেক্স তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বরাদ্দ থেকে ঋণ সুবিধা নিতে আবেদন জমা পড়েছে। এতে বন্ধ থাকা, সংস্কার প্রয়োজন এমন প্রেক্ষাগৃহ ছাড়া নতুন সিনে/মাল্টিপ্লেক্স উদ্যোক্তাদের আবেদনও জমা পড়েছে। ৩০ মার্চ ঘোষিত বরাদ্দ থেকে ঋণ সুবিধা পেতে আবেদন জমা পড়েছে মোট ৫৩টি, বাকি ৩০ টি হল সংস্কার বা ভেঙে নতুন করে বানানোর আবেদন। নতুন ২৩ টি সিনেপ্লেক্সের আবেদনের মধ্যে রয়েছে- প্রিমরোজ সিনেপ্লেক্স, সদরঘাট সিনেপ্লেক্স, ঢাকা সিনেপ্লেক্স। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলছেন, ‘ঋণের জন্য আবেদনের সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকলেও এটা বাড়ানো হচ্ছে। আমরা বুধবার ৫৩ টি ফাইল জমা দিয়েছি। এখন নতুন ফাইল তৈরি করছি। এসবের মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সবখান থেকেই আবেদন পড়ছে। ’ ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট একনেকে সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা হল চালু করতে ঋণ তহবিলের আগ্রহের কথা জানানোর দুদিন পর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও প্রদর্শক সমিতির নেতারা। ওই সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগের কথা জানায় সরকার। পরবর্তীতে গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণ তহবিলের পরিমাণ বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হয়। জানা গেছে, সরকারি ঋণ সুবিধা পেতে বুধবার সকালে ৫৩টি ফাইল জমা পড়ে রূপালি ব্যাংকের কাছে। রূপালি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মুর্তজা বলেন, ‘সরকার ঘোষিত ঋণ সুবিধা পেতে অর্ধশত সিনেমা হলের আবেদন জমা পড়েছে। এরইমধ্যে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদনও করেছি। শিগগিরই সেটা হয়ে যাবে আশা করছি। কতদিনের মধ্যে ঋণ প্রক্রিয়া শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে এই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সেটা হয়ে গেলে ঋণ সুবিধা পেতে যে আবেদনগুলো পড়েছে সেগুলো যাচাই বাছাই করা হবে।’ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কমার দাস বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে বলেন,‘সিনেমা হল বানানো ও সংস্কারের জন্য প্রচুর আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। সেগুলো তো আমরা যাছাই বাছাই না করে দিতে পারি না। ঢাকার বাইরে থেকেও প্রচুর আবেদন আসছে, সিটি করপোরেশনের বাইরে থেকে আবেদন আসুক আমরাও চাই। যাচাই করে সেসব আমরা জমা দেব।’ প্রথমদিকে অনেকেই এই ঋণ নিতে না চাইলেও নিয়ম শিথিল করায় অনেক হল মালিক ঋণ নিয়েছেন। এই ঋণ সুবিধা পেতে ২৩ নতুন উদ্যোক্তা আবেদন করেছেন। ঢাকা সিনেপ্লেক্স, প্রিমরোজ সিনেপ্লেক্স, সদরঘাট সিনেপ্লেক্স এর উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নতুন উদ্যোক্তরা বলেন, ‘ঋণ পরিশোধে নিয়ম কানুন শিথিল করায় সিনেমা শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে। এতে করে আমরা যারা নতুন উদ্দ্যোক্তা তাদের পক্ষে টিকে থাকার সুযোগও সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। সে কারণেই ঋণ সুবিধার জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি আমাদের আবেদন ব্যাংক বিবেচনা করবে। ’ গত ২৩ মার্চ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স স্থাপনের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ