গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে মঙ্গলবার ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিএনপি নেতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির।
এর আগে, সোমবার বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
তাদের পক্ষে জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর আবারও দুই বিএনপি নেতার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
নয়াপল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
রমজান ঘিরে বাজারে ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কটের পাঁয়তারা করছে অসাধু চক্র
সচেতনতার অভাবে বেড়েই চলেছে সাইবার অপরাধ
ধামইরহাটে ৩৫ কোটি টাকা মূল্যে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার