নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রঙিন পোশাকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে মুশফিকুর রহিমের। ওয়ানডে অভিষেকের চার মাসের মাথায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক। মাত্র একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যান মুশফিক। এরপর একে একে সব বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এবার আরও পরিণত মুশফিককে পাওয়ার প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমীদের। মুশফিকও জানালেন, নিজের অভিজ্ঞতার পুরোটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বকাপে। ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। তবে ভালো ক্রিকেট খেলার মাঝেও নিশ্চিত জেতা একটি ম্যাচ হারতে হয়েছিল মুশফিকের ভুলেই! ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি হারার পর বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন। এরপর কেটে গেছে আরও পাঁচটি বছর। আরেকটি বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে দরজায়। ২০১৬ বিশ্বকাপের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার পার্থক্য কী, এমন প্রশ্নে মুশফিকের রসিকতা, ‘পার্থক্য বলতে দাড়িগুলো একটু বড় হয়েছে… এটা বলতে পারেন। চুল একটু কমে গেছে… এটা বলতে পারেন।’ পরক্ষণেই ‘সিরিয়াস’ মুশফিক, ‘তবে ক্রিকেটার হিসেবে একজন যত খেলবে, ততই শিখবে। আমিও এর ব্যতিক্রম কিছু না। আমিও প্রতিদিন চেষ্টা করি নিজেকে উন্নত করার। আমি যত উন্নতি করতে পারবো, বাংলাদেশ দলকে তত দিতে পারবো। আমি বিশ্বাস করি, যে দলে যত বেশি অবদান রাখতে পারবে, ততই দলের উপকার। অবশ্যই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব, সেভাবেই চেষ্টা থাকে।’ আগের ছয় বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স ভুলে মুশফিক মনে করেন, এটাই ভালো করার সেরা সময়, ‘আমরা যতবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলি না কেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ। কারণ আমরা ধারাবাহিক ভালো করছি টি-টোয়েন্টিতে। অবশ্যই এটা সহজ নয়। তবে আমি মনে করি যে এটা সঠিক সময় এবং সেরা সময়। যেহেতু শেষ তিনটা সিরিজে আমরা জিতেছি। দুটো হোমে এবং একটা অ্যাওয়েতে। এটা অনেক বড় একটা আত্মবিশ্বাস আমাদের দল হিসেবে।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা