নৌযানের দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ মাস্টার ও চালকদের গ্রুমিং ও নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে তারা অভ্যন্তরীণ মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার, বিদ্যমান পরীক্ষা বোর্ডগুলো অবিলম্বে বাতিল এবং দুটি নতুন বোর্ড গঠন করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি পৃথক পরীক্ষা বোর্ড গঠন এবং নতুন বোর্ডে ‘বিতর্কিত কর্মকর্তাদের’ অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানানো হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা অযোগ্য চালকদের কারণে ঘটছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষার বর্তমান ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য নয়।
মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ উভয়ের জন্য মাত্র ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ২০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে, যার উত্তর প্রশ্নপত্রে টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় একজন নৌকার মাঝির দক্ষতা ও যোগ্যতা নির্ণয় করা মোটেও সম্ভব নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের দুই চেয়ারম্যান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
দুই বোর্ডের অন্য সদস্যরাও একই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছেন। তারাই প্রশ্নপত্র তৈরি করে, লিখিত পরীক্ষা নেয় এবং উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে।
এছাড়া বোর্ড সদস্যরা মৌখিক পরীক্ষা পরিচালনা করে সনদ দেন। এ কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে, ১৫ জন খ্যাতিমান নাগরিক অভিযোগ করেছেন, ডিওএস-এর একক কর্তৃত্বের কারণে পরীক্ষায় ‘প্রচুর অনিয়ম ও দুর্নীতি’ হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রার্থীরা প্রতিটি পরীক্ষার আগে দালালদের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেন করছে। এর ফলে বেশিরভাগ প্রার্থীই অযোগ্য।’
বিবৃতিতে সইকারীরা হলেন- কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন; মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম; পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী এম. ইনামুল হক; নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন; সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুনুর রশীদ; উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে; নৌপরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া; নীরপদ নৌপথ বাস্তোবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল; সিনিয়র মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল হামিদ; বিশিষ্ট শিশু সংগঠক তাহমিন সুলতানা স্বাতী; দীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম; পোভার্টি ইমিউনিজেশন অ্যাসিসটেন্স সেন্টার ফর এভরিহয়্যার (পিস) -এর নির্বাহী পরিচালক ইফমা হোসেন; আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ; পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন এবং জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম সুজন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি