নিজস্ব প্রতিবেদক:
পণ্যে পাটের বস্তার ব্যবহারে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের চাহিদাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু দেশে পাটপণ্য ব্যবহারে শিথিলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে এখন থেকে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অনুযায়ী ১৯টি পণ্যে পাটের বস্তারর ব্যবহার নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। পাট অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যেসব পণ্যগুলোতে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক সেগুলোতে কেউ প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে দেশব্যাপী সারা বছর অভিযান চললেও বর্তমান পেক্ষাপটে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। পাটের বস্তা ব্যবহারের আইনটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা গেলে পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি করা সম্ভব। আর পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি করা গেলে স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।
ফলে পাট চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাবে। সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে। সূত্র জানায়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ অনুযায়ী ৬টি পণ্য অর্থাৎ ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিতে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পরে ২০১৭ সালে মরিচ, হলুদ, পেয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়াসহ মোট ১৭টি পণ্যে পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক করা হয়।
২০১৮ সালে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আইনটির ১৪ ধারা অনুযায়ী পণ্যগুলোতে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- বা উভয় দ- হতে পারে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সর্বোচ্চ দ-ের দ্বিগুণ দ- কার্যকর করা হতে পারে। এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অনুযায়ী ১৯টি পণ্যে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ