রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১১ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটের অদূরে পাবনার জেলে আনন্দ হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
মাছটি পরে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় মৎস্যজীবীদের কয়েকজন জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীতে তেমন কোন বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা। মাঝে মধ্যে এক-দুটি পাঙ্গাশ বা বাগাড় জাতীয় মাছ ধরা পড়ে। মাছ তেমন না পাওয়ায় জেলেদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। পদ্মা এবং যমুনা নদীর মোহনা বা মিলনস্থল গোয়ালন্দ হওয়ায় সাধারণত বড় আকারের মাছ এখানেই পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজবাড়ী, পাবনা, মানিকগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের জেলেরা সাধারণত এই অঞ্চলে মাছ শিকার করে থাকেন। সঙ্গীদের সাথে করে সকালে পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন পাবনার ঢালারচর এলাকার জেলে আনন্দ হালদার ও তার দল। ফেরি ঘাটের অদূরে বাহির চর থেকে জাল ফেলে তারা প্রায় ২০ কিলোমিটার ভাটিতে গোয়ালন্দের শেষ সীমানার দিকে চলে যায়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় আকারের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে।
মাছটি পাওয়ার পর তারা জাল গুটিয়ে চলে আসেন দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরি ঘাটে। সেখান থেকে স্থানীয় মাছ বাজারে নেয়া হয় বোয়ালটি।
এসময় তাদের লগ্নির মহাজন আড়তদার দুলাল মন্ডলের উপস্থিতিতে বোয়াল মাছটি নিলামে তোলা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়ার ৫নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বোয়ালটি কিনে নেন।
বেশ কিছুদিন পর এতবড় বোয়াল মাছ পেয়ে জেলেদের মধ্যে আনন্দ দেখা দেয়।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে খবর পেয়ে মাছ বাজারে যাই। এসময়
স্থানীয় দুলাল মন্ডলের আড়ত ঘরে বড় বোয়াল মাছটি নিলামে তোলা হয়। নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই। এসময় ওজন দিয়ে দেখতে পাই প্রায় ১১ কেজি হয়েছে। তাতে প্রায় ২০ হাজার টাকা দাম পরিশোধ করতে হয়। পরে বোয়াল মাছটি নিজের আড়ত ঘরে নিয়ে আসি। কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে লাভ পেলেই বিক্রি করে দেয়া হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি