October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, May 12th, 2022, 9:55 pm

পরিবহন জটিলতায় পেট্রলশূন্য হয়ে পড়ে বিপুলসংখ্যক ফিলিং স্টেশন পেট্রলের তীব্র সঙ্কট

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হঠাৎ করে দেশের ফিলিং স্টেশনগুলোতে তীব্র পেট্রলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফিলিং স্টেশন সংশ্লিষ্টদের মতে, জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে চাহিদা অনুযায়ী পেট্রল সরবরাহ না পাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানি তেলের ডিপোগুলোয় পেট্রলের সঙ্কট রয়েছে। ফলে সেখান থেকে সরবরাহ না হওয়ায় তার প্রভাব ফিলিং স্টেশনে পড়েছে। ফলে ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী পেট্রল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তবে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দাবি, দেশে পেট্রলের কোনো সঙ্কট নেই। যে পরিমাণ চাহিদা তা সরবরাহ করা হচ্ছে। মূলত পরিবহন জটিলতায় সাময়িকভাবে এমন সঙ্কটে পড়তে হয়েছে। রেলের ওয়াগন সঙ্কটে তেল পরিবহন সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছে। ফিলিং স্টেশন এবং বিপিসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো ঈদের আগ মুহূর্তে দেশে পেট্রল চাহিদার ২০ শতাংশও সরবরাহ দিতে পারেনি। ফলে ঢাকা, রংপুর পার্বতীপুর, খুলনা, বাঘাবাড়ী জ্বালানি ডিপোগুলোয় জ্বালানি তেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেল ভোক্তাদের সংখ্যা ও পেট্রলের চাহিদা বাড়ায় ভোক্তারা ফিলিং স্টেশনগুলো থেকে পেট্রল পায়নি। পাশাপাশি ঈদ মৌসুমে প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য পেট্রল ও অকটেনচালিত গাড়ির সংখ্যাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অথচ ওই সময়ে অধিকাংশ জ¦ালানি ডিপো ছিল পেট্রলশূন্য। দু-একটি ডিপো থেকে যা সরবরাহ করা হয়েছে তাও চাহিদার নামমাত্র। ফলে পেট্রলশূন্য হয়ে পড়েছে অধিকাংশ ফিলিং স্টেশন।
সূত্র জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চলে থ্রি-হুইলার, মাহেন্দ্রাসহ বেশকিছু পরিবহন রয়েছে, যা পেট্রলচালিত। ওই অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ঈদের ছুটিতে জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ থাকায় ডিপোগুলোতে সরবরাহ কিছুটা কমে যায়। পাশাপাশি ঈদের কারণে ওসব পরিবহনে জ্বালানি তেলের চাহিদাও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ফলে সঙ্কট প্রকট হয়েছে। উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফিলিং স্টেশনগুলো পেট্রল ও অকটেনশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে ওই জেলার মোটরসাইকেল আরোহী ও পেট্রল ও অকটেনচালিত গাড়িগুলো বিপাকে পড়েছে। পাবনা ও দিনাজপুরের হিলিতে একই অবস্থা। ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রল ও অকটেন না থাকায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। জ্বালানি নিতে না পারায় মোটরসাইকেল আরোহী এবং পেট্রল ও অকটেনচালিত গাড়িগুলো ফিলিং স্টেশন থেকে ফিরে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় যাত্রী বহনকারী যানবাহন ও প্রাইভেটকারচালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) খালিদ আহম্মেদ জানান, দেশে এ মুহূর্তে পেট্রলের কোনো সঙ্কট নেই। ডিপোগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তেল সরবরাহ পাচ্ছে ফিলিং স্টেশনগুলো। ঈদের কারণে দু-এক জায়গায় জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেগুলো অনাকাক্সিক্ষত। তাছাড়া স্থানীয়ভাবে বেশকিছু বিধিনিষেধের কারণে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হতে পারে।