November 11, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, January 9th, 2022, 8:33 pm

পরিবারের কাছে ফিরল কাবুল বিমানবন্দরে হারিয়ে যাওয়া সেই শিশু

অনলাইন ডেস্ক :

তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ যাওয়ার পর পরই আতঙ্কে দেশ ছাড়তে সেখানকার বিমানবন্দরে ভিড় করতে থাকেন সাধারণ নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৯ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় দুই মাসের শিশু সোহাইল আহমাদি। বিমানবন্দরে শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার পর মা-বাবা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। এরপর গত শনিবার শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোহাইল আহমাদির বাবা মির্জা আলি আহমাদি কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট বিমানবন্দরে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় ছিল। মির্জা আলি আহমাদি ও তার স্ত্রী সুরাইয়া যত বিমানবন্দরের দিকে এগোচ্ছিলেন, তত ভিড় বাড়ছিল। তাই সুরাইয়ার ভয় ছিল, তার সন্তান এই ভিড় হারিয়ে যেতে পারে। একসময় বিমানবন্দরের দেয়ালের কাছে পৌঁছালে তারা শিশু সোহাইলকে এক সেনার হাতে তুলে দেন। বিমানবন্দরের দেয়ালের ওপর দিয়ে সোহাইলকে ওই সেনার হাতে তুলে দেন তারা। তাদের আশা ছিল, বিমানবন্দরে প্রবেশের পর ওই সেনার কাছ থেকে শিশুকে নিয়ে নেবেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় মুহূর্তেই। তালেবানের সদস্যরা বিমানবন্দরের বাইরের ভিড় কমানোর চেষ্টা করেন। এ কারণে বিমানবন্দরে প্রবেশে দেরি হয়ে যায় মির্জা আলি আহমাদি, তার স্ত্রী সুরাইয়াসহ বাকি চার সন্তানের। এরপর আর তারা শিশু সোহাইলকে খুঁজে পাননি। ওই সময় বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা মির্জা আলি আহমাদিকে বলেছিলেন, তাদের শিশুকে আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। যাহোক, সোহাইল বিমানবন্দরে হারিয়ে যায়। ট্যাক্সিচালক হামিদ সাফির শিশুটিকে পায় বিমানবন্দরে। শিশু সোহাইলকে নিজের সন্তানের মতো করেই আগলে রেখেছিলেন হামিদ। গত নভেম্বরে রয়টার্স একটি খবর প্রকাশ করে এ ঘটনা নিয়ে। ওই খবরে শিশুটির ছবি ছাপা হয় এবং কার কাছে আছে তা-ও প্রকাশ করা হয়। এতে করে সন্ধান মেলে শিশুটির। এই খবর প্রকাশের পর সপ্তাহ ধরে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপর তালেবানরা হামিদকে আটকও করে। সোহাইলকে ফেরত দেওয়া হয় তার দাদা-দাদির কাছে। সোহাইলের পরিবার বলছে, তারা এখন সোহাইলকে মা-বাবার কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।