October 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 16th, 2022, 4:58 pm

পাবনায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা :

পাবনায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রুমানা পারভীন অন্তরাকে গুলি করে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল্লাহ ওরফে অকাত কে মৃত্যুদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল্লাহ ওরফে অকাত পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম জামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই রুমানা পারভীন অন্তরার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা ও একটি মোটর সাইকেল যৌতুক দাবী করেন স্বামী আব্দুল্লাহ ওরফে অকাত। যৌতুক না দেওয়ায় অন্তরাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায় ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে আব্দুল্লাহ আবার যৌতুরে জন্য অন্তরাকে চাপ দেন। যৌতুকে টাকা এনে দিতে অন্তরা অস্বীকার করলে আব্দুল্লাহ তার বাবার ঘর থেকে বন্দুক এনে অন্তরাকে গুলি করেন। স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত রুমানা পারভীন অন্তরার পিতা রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে চারজনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ১৬ জানুয়ারী ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলা চলাকালে এক আসামীর মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম ফরিদ উদ্দিন।

এদিকে, রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীর পরিবার।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম ফরিদ উদ্দিন বলেন, রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখানে আসামি সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হবে।