October 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, December 2nd, 2022, 7:31 pm

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর: সরকার চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদী পাহাড়ি নেতারা

ফাইল ছবি

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ২৫ বছরেও বহু ধারা, উপধারা আজও অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে বলে দাবী করছেন কয়েকজন পাহাড়ি নেতা। তারমধ্যে ভূমি বিরোধই বড় সংকট। ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির মাধ্যমে সরকার চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদী তারা।

অন্যদিকে সরকার বলছে, চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং ইতোমধ্যে চুক্তির অধিকাংশ ধারাই বাস্তবায়িত হয়েছে।

অধিকার প্রশ্নে প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলে সশস্ত্র সংগ্রাম। এতে অসংখ্য পাহাড়ি ও বাঙালিরা ক্ষতির শিকার হন। পাহাড়ের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে পড়েছিল।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ওই বছরের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে। অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন প্রায় দুই হাজার শান্তিবাহিনীর সদস্য।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর থেকে পরিকল্পিত উন্নয়ন ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন তৎপরতা চলছে। অগ্রগতি, সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ বিস্তৃত হয়েছে।
তবে অতীতে পার্বত্য অঞ্চল অস্থিতিশীল থাকায় এত বছরেও প্রত্যাশিত শান্তির দেখা মেলেনি বলে মনে করেন সাধারণ পাহাড়িরা।

অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে। অন্যদিকে চুক্তি বিরোধী

পাহাড়ি সংগঠন, ‘ইউপিডিএফ’ নেতারা মনে করেন চুক্তির ২৫ বছর কেটে গেলেও পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি আসেনি। তবে পাহাড়ে কাঙ্খিত শান্তি ফিরবে বলে আশাবাদী পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়াম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, কিছু সমস্যা থাকলেও চুক্তির অধিকাংশ বিষয়সমূহ বাস্তবায়িত হয়েছে। সবার আন্তরিকতা থাকলে চুক্তির বাকি ধারাগুলো শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।

এদিকে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে ২ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য র্যালিসহ দুইদিন ব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও গুইমারা রিজিয়ন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিও পৃথক কর্মসূচি পালন করবে।

—ইউএনবি