October 13, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, June 21st, 2022, 8:32 pm

পি কে হালদার আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে

অনলাইন ডেস্ক :

ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে তাকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। বেলা ১২টার দিকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীদের কোর্টে তোলা হয়। বেলা ১টার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই-৩ এজলাসে আনা হয় তাদের। পরে আদালত রায়ে জানান, আরও ১৪ দিন জেল হাজতে থাকবেন পি কে হালদার। ৫ জুলাই ফের আদালতে তোলা হবে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারকে শনিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এদিন আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী (নাম জানা যায়নি), উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র। এছাড়াও প্রণব হালদার নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরবর্তীতে সঞ্জীব হালদার নামে একজনকে আটক করার কথা জানায় ইডি। তিনি পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার জামাই। বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় ইডি। ইডি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আঁধার কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্রও সংগ্রহ করেছেন পি কে হালদার। জালিয়াতির মাধ্যমে এসব পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে শিবশঙ্কর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন। এর আগে গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত নয়টি স্থানে একযোগে অভিযান চালায় ইডি। এতে কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ পি কের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি জব্দ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।