অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর থেকেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা চালাতে শুরু করেছেন রুশ সেনারা। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। এরইমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মনে করছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে রীতিমতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার এসব বেপরোয়া পদক্ষেপ সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তাকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। শুক্রবার (৪ঠা মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ফোনকলে কথা বলেছেন জনসন। সেখানে এই মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (৪ঠা মার্চ) ভোরের দিকে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এটি ইউক্রেন ও সমগ্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রুশ বাহিনীর হামলায় সেখানে আগুন লেগে যায়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় বিদুৎ কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানায় ইউক্রেনের জাতীয় জরুরি পরিষেবা। এদিকে হামলার পর জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। এর আগে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকা-ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই জেলেনস্কিকে ফোন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। জনসন জানান, পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাজ্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। তিনি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। যুক্তরাজ্য রাশিয়া এবং ঘনিষ্ঠ অংশীদারদের সাথে অবিলম্বে বিষয়টি উত্থাপন করবে। এদিকে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার বিষয়টিকে গভীর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে অবিলম্বে পাওয়ার স্টেশনে হামলা বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে উভয় নেতাই একমত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্ল্যান্টে জরুরি পরিষেবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে হবে।’
আরও পড়ুন
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রাশিয়ায় মার্কিন সাংবাদিক আটক
ন্যাটোয় ফিনল্যান্ড, মেনে নিলো তুরস্ক
৬০ হাজার অভিবাসীর কাজের সুযোগ জার্মানিতে