সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বুধবারও বাকৃবিতে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বাকৃবি করিডোরের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাকৃবির কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেন।
বাকৃবির শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হলে অথবা বিদ্যমান পেনশন স্কিম থেকে ভালো অন্য কোনো স্কিম না আসা পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’
পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয় স্কিম থেকে প্রত্যাহার, অভিন্ন নীতিমালা এবং কর্মকর্তাদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসব বৈষম্য চাই না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’
বুধবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির কর্মচারীরা।
বাকৃবির বাকৃবি শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মোশারফ বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকবে। আমরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান করলাম।’
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
পাবনার মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫৫
সিলেটের শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা আতংকে অভিভাবকরা