October 11, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, March 7th, 2022, 7:47 pm

প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ইবি ছাত্রী হলে বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলের এক ছাত্রী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে প্রভোস্টকে একাধিকবার ফোন দিলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা এ বিক্ষোভ শুরু করেন বলে জানা গেছে।

রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ওই হল গেটের সমানে অবস্থান কর্মসূচির শুরু করে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এসময় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানুর পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাজিয়া সুলতানা নামের এক ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তার সহপাঠীরা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানু কাছে ফোন দিলেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেননি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে অনেক দেরি করায় আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রভোস্টকে ফোন দেন। এতে বিরক্তি হয়ে প্রভোস্ট বলেন, বারবার ফোন দেয়ার কি আছে?

পরে ছাত্রীরা হাউস টিউটর শিমুল রায়কে ফোন করার পর তিনি অ্যাম্বুলেন্স পাঠান। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি এবং প্রভোস্টের অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে ওই হলের প্রায় শতাধিক ছাত্রী বিক্ষোভ শুরু করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাদের এসে সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে প্রভোস্টের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিবেশে শান্ত করেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, হল প্রভোস্ট ঠিক মতো হলে আসেন না। কোনো সুবিধা-অসুবিধায় তাকে সময় মতো পাওয়া যায় না। এছাড়া হলে আরও নানান সমস্যা রয়েছে। এজন্যই আমরা তার পদত্যাগ চাইছি।

হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. নিলুফা আক্তার বানু বলেন, ‘ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে এক ছাত্রী আমাকে ফোন দিলে আমি হলের দায়িত্বরত হাউজ টিউটরকে ফোন দিতে বলি। এরপর আরেক ছাত্রী আমাকে এ ব্যাপারে ফোন দিলে আমি বলেছি, একই ইস্যুতে তোমরা কতবার ফোন দিবা?

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা সেখানে যাই এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করি।

—ইউএনবি