অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের টানে পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভয় উপেক্ষা করে প্রায় এক ঘণ্টা নদী সাঁতরে, এমনকি বাঘের ভয় জয় করে সুন্দরবনের জঙ্গল পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গেছেন বাংলাদেশের সাতক্ষীরার এক তরুণী। ভালোবাসার মানুষকে পেতে সাতক্ষীরার সুন্দরবন থেকে কালীঘাট চলে যান তিনি।এরপর বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হন কালীঘাট মন্দিরে। সংসারও শুরু করেন। তবে বাদ সাধে পুলিশ। হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। অভিযোগ, বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়।পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর নাম কৃষ্ণা মন্ডল। সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা কৃষ্ণার সঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশপরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানার রানিয়া এলাকার যুবক অভীক মন্ডলের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই প্রেমকে পূর্ণতা দিতেই দিন কয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন কৃষ্ণা। দুই বাংলার সুন্দরবনের জঙ্গল পেরিয়ে, মাতলা নদী সাঁতরেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না নামের এলাকায় ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের এই তরুণী।তার কাছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার কোনো কাগজপত্র ছিল না। তার জেরেই কৃষ্ণা ম-লকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করবে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবারই অভিযুক্তকে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস ছয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নরেন্দ্রপুর থানার রানিয়া এলাকার যুবক অভীক ম-লের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশের কৃষ্ণা ম-লের। তারপর দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব পরিণত হয় প্রেমে। তারপর ছয় মাসের মধ্যেই জন্মজন্মান্তরের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই বাংলার তরুণ-তরুণী।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২