অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে প্লেনে করে আইসল্যান্ডে যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে এক নারীর করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তাকে প্লেনের টয়লেটে তিন ঘণ্টা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ওই সময় টয়লেটের দরজায় লিখে রাখা হয়, ‘এটি ব্যবহারযোগ্য নয়।’ গত ১৯ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটেছে। ওই প্লেনযাত্রীর নাম মারিসা ফোটিও। তিনি বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে শিকাগো থেকে আইসল্যান্ড হয়ে সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছিলেন। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের। সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিসার দুই ডোজ করোনার টিকা নেওয়ার পাশাপাশি নিয়েছেন বুস্টার ডোজও। প্লেনে ওঠার আগে দুইবার পিসিআর এবং পাঁচবার র্যাপিড টেস্ট করান তিনি। প্রতিবারই তার করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু ফ্লাইট শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে তার গলায় সমস্যা অনুভব করেন। এরপর প্লেন আটলান্টিকের ওপরে মাঝ আকাশে থাকাকালে আবারও তার করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মারিসা বলেন, ‘করোনা পজিটিভ আসার পর আমি আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে শুরু করি। আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য দুশ্চিন্তা হয়। প্লেনের অন্যান্যের নিয়েও চিন্তা হচ্ছিল।’ ওই ফ্লাইটের অ্যাটেনডেন্ট রকি বলেন, প্লেনে সব আসনে যাত্রী থাকায় মারিসাকে আলাদা করে রাখার সুযোগ ছিল না। তাই কোয়ারেন্টাইন হিসেবে তাকে টয়লেটে আটকে রাখা হয়েছিল। তার ক্ষেত্রে যা করা হয়েছে সেটা আমাদের কাজের অংশ।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২