গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দেয়ার হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের শুনানির ৮ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার আদালতে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালত আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিএনপির দুই নেতাকে আদালতে তাদের জামিন মুচলেকা জমা দিতে দেয়া হবে না।
বিএনপির দুই নেতার আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আবেদনের শুনানি করায় তাদের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার জানা যাবে।
এর আগে এ মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিনের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির বলেন, আজ সকালে সরকার সংশ্লিষ্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চে আবেদনটি করে।
এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর আবারও বিএনপির এই দুই নেতার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গেল বছরের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে নয়াপল্টন থানায় করা মামলায় ৪৫০ জন, মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম