October 12, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, September 30th, 2022, 9:32 pm

ফরিদপুর চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের সালথায় কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা প্রিন্স (২২) ও জসীম মোল্যা (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী।

গ্রেপ্তার সবার বাড়িই উপজেলা সদরের মাঠ সালথা নামক এলাকায়।

এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সালথা উপজেলা সদরের মাঠ সালথা কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছেন ‘তাসা কনস্ট্রাকশন’- নামে ফরিদপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ৮-১০ জন যুবক। দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় তারা ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয় তাসা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন,ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাবার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এর আগে তাদের পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবি এ ঠিকাদারের।

পরে চাঁদা দাবির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন,‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন ছেলেপেলে প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন।’

সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন,‘ছাত্রলীগ ভালো কাজ করলে সুনাম হয়। আবার খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত হলে দুর্নাম পুরো সংগঠনের ওপর পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি বিষয়টি শুনেছি। সেখানকার একটি পক্ষ বলছে রাস্তার নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে কাজের বাঁধা দেয়া হয়েছে। আবার আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রলি থামিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজীর অভিযোগে থানাতে একটি এজাহার দায়েরের পর তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কি-না তা আমার জানা নেই।

দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ফরিদপুরের কোর্টে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

—-ইউএনবি