October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 3rd, 2023, 9:23 pm

ফিলিপাইনে বোমা হামলায় তিনজন নিহত, আহত ৭

অনলাইন ডেস্ক :

ফিলিপাইনের বিদ্রোহপ্রবণ দক্ষিণাঞ্চলে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের একটি জমায়েত অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। দেশটির সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত শহর মারাউয়িতে মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটির জিমনেসিয়ামে প্রার্থনার জন্য নিয়মিত জমায়েতে এই হামলা হয়। গত শুক্রবার মিন্দানাও প্রদেশে ফিলিপিাইনের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় ১১ জন মুসলিম বিদ্রোহী নিহত হওয়ার পরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটল। খবর এএফপির। এ বিষয়ে আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান অ্যালান নবজেলা বলেন, ‘আমরা আইইডি (বিস্ফোরক) এবং গ্রেনেড ছোঁড়ার বিষয়টি তদন্ত করছি।’

এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সটি বিবৃতি দিয়েছে এবং ক্লাস স্থগিত রেখেছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে অতিরিক্তও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বলে, আমরা এই বিয়োগান্তক ঘটনার শিকার লোকজন ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে আছি। লানাউ ডেল সার প্রদেশের সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় গভর্নর মামিন্তাল আদিয়ং একটি মেডিকেল সেন্টারে বোমা হামলায় আহত লোকজনের পাশে দাঁড়িয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

এদিকে, মারাউয়ি শহরের মেয়র মাজুল গানদামরা মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের শহর দীর্ঘদিন থেকেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সৌহার্দের উদাহরণ হয়ে আছে। সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে শান্তি ও ঐক্যের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ এর আগে গত শুক্রবার মিন্দানাও প্রদেশে ফিলিপিাইনের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় ১১ জন মুসলিম বিদ্রোহী নিহত হয়। এ বিষয়ে গত শনিবার দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, দাওলাহ ইসলামিয়া ফিলিপাইন নামের ওই সংগঠনটি মাগুইন্দানাউ দেল সার প্রদেশে হামলার পরিকল্পনা করছিল।

মুসলিম অধ্যুষিত মিন্দানাও প্রদেশের দুটি সায়ত্বশাসিত অঞ্চল হলো লানাউ ডেল সার এবং মাগুইন্দানাও দেল সার। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অশান্ত এই অঞ্চলে এক সময় বাস, ক্যাথলিক গির্জা আর বাজারে প্রায়শই হামলার ঘটনা ঘটতো। তবে, ২০১৪ সালে বিদ্রোহের অবসানের লক্ষ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় বিদ্রোহী সংগঠন মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে সরকার। তবে ছোট ছোট কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী এখনও এই শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আছে।