জেলা প্রতিনিধি:
ফেসবুকের মাধ্যমে বগুড়া সেনা নিবাসের ঝাড়ুদার সাকিব হোসেনের সাথে বগুড়া সদরের সাবগ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে কলেজছাত্রী নাজনীন আক্তারের পরিচয় হয়। ভুয়া ঠিকানা দিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর নাজনীনকে বিয়ে করেন সাকিব।
নাজনীনের ভাই আব্দুল আহাদ জানান, গত ২৪ মে বাবার অসুস্থতার কথা বলে নাজনীনকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোরে বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় সাকিব। দুই দিন ধরে নাজনীন ও সাকিবের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। এর সূত্র ধরে সাকিবকে আটক করে পুলিশ। সাকিব তার স্ত্রীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করায় সে অনুযায়ী গত দুই দিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় নাজনীনের লাশ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ জুন) নাজনীনের স্বামী সাকিব হোসেনের বাবার ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওড়না ও নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তবে উদ্ধার হওয়া ওড়না ও নখ নাজনীনের কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, এই কয়েক দিনে একটি লাশ পঁচে গলে যেতে পারে না। গলে গেলেও কঙ্কাল থাকার কথা। সাকিবের দেখিয়ে দেয়া সেপটিক ট্যাংকে কিছুই পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
আরও পড়ুন
ডিএমপির দায়িত্ব নিলেন হাবিবুর রহমান
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় গণমাধ্যমের অন্তর্ভুক্তির নিন্দা শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ না আনায় বেড়েছে দাম