November 11, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 30th, 2022, 8:13 pm

ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে ৬টি ভিডিও লিংক অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রতীকী ছবি

উসকানিমূলক ও জন জীবনে অস্থিরতা তৈরি করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া এমন ছয়টি ভুয়া সংবাদ ও ভিডিও লিংক অবিলম্বে সরানোর পাশাপাশি তা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ফেসবুক ও ইউটিউবে সব নিউজ ও ভিডিও প্রকাশ বিষয়ে সত্যতা নিরূপণে আইন অনুসারে জবাবদিহির কৌশল নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২১ আগস্ট ছয়টি ভুয়া ভিডিও লিংক সরানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ এই দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক ও ইউটিউব) বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান।

পরে নোটিশের জবাব না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রিট করেন আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান ও আরাফাত হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিটে উল্লেখ করা হয়, তারা অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন; যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা এবং জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে, যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন।

এছাড়া বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭এ-এর ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ৮, ১৩, ১৬,২৫ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।

আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা এবং দেশে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হচ্ছে।

রিটে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএ’র স্পষ্ট নীতি ও ফেসবুক ও ইউটিবের সাম্প্রতিক রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থি।

—-ইউএনবি