October 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, December 26th, 2023, 8:15 pm

ফ্রান্সে আটক বিমান ২৭৬ যাত্রী নিয়ে ফিরল মুম্বাইয়ে

অনলাইন ডেস্ক :

ফ্রান্সের বিমানবন্দরে ভারতীয়দের নিয়ে আটক বিমান মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোররাতে মুম্বাই পৌঁছাল। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানে মোট যাত্রী ছিল ২৭৬। কিন্তু ২৭ জন যাত্রী বিমানের সঙ্গে ফেরত আসেনি। যাত্রীদের দুইজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় এর মধ্যে পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ ২৫ জন ফ্রান্সে আশ্রয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, আশ্রয় চাইলে তাদের আবেদনের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ফেরত পাঠানো যায় না। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা জানানো হয়নি। বিমানটি ভোর চারটের সময় মুম্বাই পৌঁছেছে। এই চার্টার বিমানটি দুবাই থেকে নিকারাগুয়া যাচ্ছিল। জ্বালানি ভরার জন্য তা ফ্রান্সের বিমানবন্দরে নেমেছিল। তখন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফ্রান্সের কর্মকর্তাদের জানায়, এই বিমানে মানব পাচার করা হচ্ছে। তখন বিমানটিকে আটক করা হয়। যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।

এই ঘটনার চারদিন পর বিমানটি মুম্বাই এসে পৌঁছাল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নিকারাগুয়া থেকে যাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করতেন। মার্কিন কাস্টমস ও বর্ডার পেট্রোলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয়দের বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা অনেকটাই বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে ৯৬ হাজার ৯১৭ জন ভারতীয় এইভাবে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। যে সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশেরও বেশি। ৪১ হাজারের মতো ভারতীয় মেক্সিকোর সীমান্ত পার হয়ে অ্যামেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করেছেন। এই ক্ষেত্রে অভিবাসীরা একটা নির্দিষ্ট কৌশল নেয়। তারা ‘ডাঙ্কি’ ফ্লাইটে তৃতীয় কোনো দেশে এসে পৌঁছায়। যে দেশে ট্রাভেল ডকুমেন্টের কড়াকড়ি কম। সেখান থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওই বিমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ পাচারকারী সিন্ডিকেটের যোগ থাকতে পারে। ফ্রান্সের আদালতের এক বিচারক এই বিমানের যাত্রীদের আটক না রেখে ভারতে পাঠাতে বলেন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিচারক জনমতের চাপ উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ফলে যাত্রীরা মুক্তি পেয়েছেন। ফরাসি কর্তৃপক্ষ এখনো এই ঘটনার তদন্ত করছে। তবে তারা আর মানব পাচারের বিষয়টি দেখছে না। তারা ফ্রান্সের অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।