জেলা প্রতিনিধি:
সংস্কার কাজ শেষ না হতেই বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর বাঁধ রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারের আরো পাঁচ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানির তোড়ে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে চতুর্থ দফায় এই স্পারে ভাঙন শুরু হয়। এনিয়ে স্পারের প্রায় ৮৫ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশপাশের বসতি এলাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, স্পারের সামনের দিকের ঢালাই করা অংশ থেকে মাটির তৈরি অংশ আলাদা হয়ে গেছে। আর ওপরের অংশ পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্পারের ঢালাই করা অংশ। পানি বাড়ার পাশাপাশি ¯্রােত বেড়ে গেলে স্পারের সামনের অংশও নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সবুজ হোসেন, লিয়াকত আলী ও হযরত আলীসহ অনেকের অভিযোগ, ধসে যাওয়া স্থানে ধীর গতিতে মেরামত কাজ করছিলো পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কারণে পানির প্রবল চাপে বার বার স্পার ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে। সময় মতো টেকসই মেরামত কাজ করা হলে স্পারটি বারবার এভাবে ভাঙতো না। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার (৩রা সেপ্টেম্বর)) সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বানিয়াজান স্পারের ভাঙন ঠেকাতে নিরলসভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু পানি বাড়ার কারণে স্পারটি টিকছে না। জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২০০৩ সালে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পারটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর থেকে নদীর পানি অনেক দূর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঝুঁকিমুক্তি ছিল স্পারটি। কিন্তু সম্প্রতি নদীতে চর জেগে ওঠায় গত ৫ আগস্ট পানির তোড়ে ভেঙে যায় স্পারের ২০ মিটার অংশ। এরপরই পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে শুরু করে মেরামত কাজ। তবুও স্পারের ভাঙন থামানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি