বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর রূপরেখা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তার আলোকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের কৌশল নিয়ে কাজ করছেন তারা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় তিনি সংসদে বলেছিলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে টেকসই উত্তরণ এবং উত্তরণ-পরবর্তী বাস্তবতাগুলো মোকাবিলা করার কৌশলগুলো এখনই নির্ধারণ করা দরকার।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট অর্থনীতি এই চারটি মূল স্তম্ভের ভিত্তিতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১), চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৫-২০২৫) এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনাগুলো এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে যা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সামগ্রিকভাবে বর্তমান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, চলতি হিসাবের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার হার স্থিতিশীল করা।
বিশেষ করে তিনি বলেন, শুল্ক যৌক্তিককরণ, রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ, ভর্তুকি প্রত্যাহার বা নগদ সহায়তা বা বিকল্প অন্বেষণ এখন বিবেচনা করা উচিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জিডিপির শতাংশ হিসাবে রাজস্বের পর্যাপ্ত প্রবৃদ্ধি, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় অর্থায়ন সহজতর করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় মেটাতে দেশি ওবিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের ব্যবস্থা করার জন্য।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি