বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যে ঋণ চেয়েছে সে বিষয়ে অক্টোবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংস্থাটির একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে এখন কোনো ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে নেই। বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশটির চিত্র ভিন্ন, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে কয়েকটি বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন আনন্দ। আইএমএফের নীতি ও পর্যালোচনা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর উমা রামকৃষ্ণান এসময় যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আইএমএফ ঋণের শর্তের কোনো যোগসূত্র নেই বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। সেটা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১৪ শতাংশ। যে কারণে দেশটির ঋণ খেলাপিতে যাওয়ার আশঙ্কা কম। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশকে কোনোভাবেই মেলানো যাবে না।
ওই কর্মকর্তা বলেন, তহবিল সংক্রান্ত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুযায়ী আইএমএফ বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। আইএমএফ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মসূচির নকশা নিয়ে আলোচনা করছেন।
রাহুল বলেন, ‘অক্টোবরের মাঝামাঝি আইএমএফের বার্ষিক সভা হবে। সেখানে বাংলাদেশের ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
দাম বেড়েছে সবজি ও মুরগির
জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
গোপালগঞ্জ সফরে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী