October 10, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, February 15th, 2023, 8:13 pm

বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আহ্বান জানাল প্রধানমন্ত্রী

ছবি: পি আই ডি

বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জং সুং মিন তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ উন্নয়ন অংশীদার এবং দেশটি স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে টেক্সটাইল ও অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা করে আসছে।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে জাং সুং মিন বাংলাদেশ সফর করছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।

কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির অফিসের রাষ্ট্রপতির দূত এবং ভবিষ্যত কৌশলের সিনিয়র সেক্রেটারি বলেছেন, আগামী দিনে সম্পর্কটি ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী হবে।

৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালের ১২ মে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

সাক্ষাতকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রদূত বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানান।

জাং সুং মিন বলেছেন যে সফরের পর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও ত্যাগের কথা জানতে পেরে ‘মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত’ হয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের পক্ষে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকেও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এ সময় মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কিউন উপস্থিত ছিলেন।

জাং সুং মিন বাংলাদেশে তিন দিনের সফরে গতকাল ঢাকায় পৌঁছেছেন।

প্রেসিডেন্ট ইউনের একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসাবে তিনি ২০২২ সালের মে মাসে কাজ শুরুর পর থেকে নতুন প্রশাসনে দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিগুলো প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

—-ইউএনবি