অনলাইন ডেস্ক :
অনুশীলন শুরু দুপুর ২টায়। বেলা ১১টার আগেই মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির চান্দিকা হাথুরুসিংহে। টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে উইকেট দেখার সময় বাংলাদেশের প্রধান কোচের সঙ্গী অচেনা একজন। পরে জানা গেল তার নাম-পরিচয়। নাম অ্যালান ব্রাউন। মেন্টাল স্ট্রেংথ ও মাইন্ড ট্রেইনার হিসেবে তাকে উড়িয়ে এনেছে বিসিবি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার সঙ্গে কোনো চুক্তি হচ্ছে না। আগামী দুই সপ্তাহ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করবেন অস্ট্রেলিয়ান এই বিশেষজ্ঞ। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, আগামী অগাস্টে জাতীয় দলের জন্য একজন মনোবিদও আনা হবে। “এখন মাইন্ড ট্রেইনারের সঙ্গে কাজ করা হবে দুই সপ্তাহের মতো। এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এরপর একজন মনোবিদও আসবেন, ফিল জোন্সি। অগাস্টের ১০-১১ তারিখের দিকে বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি।”
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার নাফীস সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, অনলাইনে আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন ব্রাউন। প্রথাগত ক্রীড়া মনোবিদরে সঙ্গে এই মাইন্ড ট্রেনারের পার্থক্যও তুলে ধরেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। “তার কাজটি মূলত হচ্ছে, ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত কোয়ালিটি যেসব থাকে, সেসবকে কীভাবে দলীয় আবহে কাজে লাগানো যায়…এই দিকটি নিয়ে কাজ করছেন তিনি। প্রশ্ন থাকতে পারে যে একজন ক্ল্যাসিকাল ক্রীড়া মনোবিদের সঙ্গে ওঁর পার্থক্য কী। কোয়ালিফাইড ক্রীড়া মনোবিদ একজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সমস্যা ও সমাধন নিয়ে কাজ করেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে। ব্রাউন কাজ করেন একজন ক্রিকেটার কীভাবে তার গুণের জায়গাটিতে দলীয় পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়তা করে পারে।” শাহরিয়ার জানান, এই দুই সপ্তাহ পরও তিনি অনলাইনে কাজ চালিয়ে যাবেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে শনিবার রাতে বাংলাদেশে এসেছেন হাথুরুসিংহে। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে এসেছেন ব্রাউন। সোমবার সকালে কাজে নেমে পড়েন দুজন। সকালে শের-ই বাংলায় এসে শুরুতেই উইকেট দেখতে যান হাথুরুসিংহে। তখন তার সঙ্গে ছিলেন ব্রাউন। পরে পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভার সঙ্গে লম্বা সময় কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। এ সময় বিসিবি কার্যালয়ে চলে যান ব্রাউন। দুপুরে অনুশীলন শুরুর আগে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের সঙ্গে মেন্টাল স্ট্রেংথ বিষয়ে প্রায় এক ঘণ্টার একটি সেশন করেছেন ব্রাউন।
বাংলাদেশ দল আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য। আগামী ১৪ জুন থেকে সিরিজের একমাত্র টেস্ট শুরু হবে মিরপুরে। মনোবিদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আলোচনা বেশ পুরনো। নানা সময়ে কয়েকজন কাজও করেছেন। হাথুরুসিংহের আগের মেয়াদে অস্ট্রেলিয়ান মনোবিদ ফিল জোন্সি কাজ করেছেন কিছুদিনের জন্য। অগাস্টে তাকেই আবার আনবে বিসিবি। এছাড়াও কয়েক দফায় কাজ করেছেন কানাডা প্রবাসী মনোবিদ আজহার আলী খান। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে দলের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় মনোবিদ সৌমেন্দ্র সাহা। সম্প্রতি হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের জন্য ক্রীড়া মনোবিদ হিসেবে ডা. ডেভিড স্কটকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা