November 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, January 23rd, 2024, 8:47 pm

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ৫ কেজি সোনা উদ্ধার করলো বিএসএফ

অনলাইন ডেস্ক :

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি ৮২৯ গ্রাম ওজনের দুটি বড় ও ৩০টি ছোট সোনার বার উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় চোরাচালান চক্রের এক সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সোনাগুলোর আনুমানিক মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ৩ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার রুপি। বিএসএফ বলছে, এক ভারতীয় চোরাচালানকারী বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল। সে সোনাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছে।

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, ২১ জানুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে তিন জন পাচারকারী ইছামতি নদী (আন্তর্জাতিক সীমানা) থেকে বন্য ঘাস এবং বাঁশের ঝোপের ঘন বনের মধ্য দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারা গোপনে ভারতীয় সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। চোরাকারবারিদের দেখতে পেয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিএসএফ সদস্যরা। এ সময় প্রসেনজিৎ মন্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাপড়ের বেল্ট খুলে স্কচটেপে প্যাঁচানো অবস্থায় দুটি বড় ও ৩০টি ছোট সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

প্রসেনজিৎ মন্ডলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হালদার পাড়ায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রসেনজিৎ জানিয়েছে, আংরাইলের ঘোষপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি তার বাড়িতে আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে সোনা আনার প্রস্তাব দেয়। এরপর দুজনে ইছামতি নদীর তীরে পৌঁছালে অন্য দুজনের সঙ্গে দেখা হয়। তাকে একটি মোবাইল ফোন বহন করতে বলা হয়েছিল, যাতে তাকে পাচারকারীরা সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও বিএসএফ সেন্ট্রির কার্যকলাপ ও চলাচলের ওপর গভীর নজর রাখতে এবং ফোনে তাকে অবহিত করতে পারে। ইছামতি নদী সাঁতরে পার হয়ে সেখানে আসে এক বাংলাদেশি। তীরে তার হাতে সোনা তুলে দিয়ে আবার দেশে ফিরে যায়।’

ওই তিন জন সোনা নিয়ে ভারতের দিকে ফিরে যাওয়ার সময় তাকে ফোনে জানানো হয়, বিএসএফ সদস্যরা তাদের দেখে ফেলেছে। দ্রুত তাদের পালিয়ে যেতে বলা হয়। এতে দুজন পালিয়ে গেলেও সে ধরা পড়ে যায়। টাকার বিনিময়ে তাকে এ কাজ করতে বলা হয়েছে বলেও জানায় প্রসেনজিৎ। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারি এবং জব্দ করা সোনা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলকাতার ডিআরআইর কাছে হস্তান্তর করা হয়। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, ‘চোরাকারবারিরা দরিদ্র ও নিরীহ মানুষকে সামান্য অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে।’ সীমান্তের বাসিন্দাদের সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেলে বিএসএফ-এর ‘সীমা সাথী’ হেল্পলাইন নম্বরে তথ্য দেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।