অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা সিনেমা তার স্বর্ণালি যুগ অতিক্রম করেছে ৬০ থেকে ৮০’র দশকে। পারিবারিক-সামাজিক গল্প, মধুর সংগীতায়োজন আর নির্মাতা, অভিনেতা, কলাকুশলীদের প্রচেষ্টায় বাংলা চলচ্চিত্রে এক ঐতিহ্যগত ধারা তৈরি হয়েছিল। এই ধারায় পথ চলেই বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ পেয়েছে দারুণসব কালজয়ী সিনেমা। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী কিছু সিনেমা- তিতাস একটি নদীর নাম: একটি নদীতীরবাসী কিছু মানুষের সুখ-দুঃখ, উত্থান-পতনের রূপময় আলেখ্য নিয়ে একটি অনন্যসাধারণ চলচ্চিত্র ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। ঠাঁই পেয়েছিল ওয়ার্ল্ড ক্লাসিকের প্রথম চল্লিশটিতে। কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক নির্মাণ করেছিলেন সিনেমাটি। অভিনয়ে ছিলেন কবরী, গোলাম মুস্তাফা, প্রবীর মিত্রসহ অনেকে। মেঘের অনেক রঙ: যুদ্ধে পাকবাহিনীর দ্বারা লাঞ্ছিতা এক নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার আগে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে এক ডাক্তার দম্পতির কাছে রেখে যাওয়ার গল্প নিয়ে ‘মেঘের অনেক রঙ’ চলচ্চিত্র। হারুনর রশিদ পরিচালিত সিনেমাটি বাংলাদেশের প্রথম রঙিন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাথিন, ওমর এলাহী, রওশন আরা, আদনান প্রমুখ।সীমানা পেরিয়ে: ১৯৭০ সালে উপকূলীয় অঞ্চলে এক ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ‘সীমানা পেরিয়ে’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পরিচালক আলমগীর কবির। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের মহানায়ক বুলবুল, জয়শ্রী কবিরসহ অনেকে। গোলাপী এখন ট্রেনে: বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে এক মাইলফলক ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’। দেশের প্রত্যেক মানুষের গল্প ফুটে উঠেছিল ছবিটিতে। ছবিটিতে গোলাপীকে প্রশ্ন করা হয় ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাসে ঢোকার টিকিট কোথায় পেয়েছে? উত্তরে গোলাপী বলে, ‘আমরা সকলেই এক ক্লাসের মানুষ।’ এই সংলাপটি কত অসাধারণভাবেই পরিচালক আমজাদ হোসেন সেলুলয়েডের পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন। অভিনয়ে ছিলেন ববিতা ও ফারুক। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশি সিনেমা জগৎকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে এসব কালজয়ী সিনেমা।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ