November 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, May 25th, 2021, 11:43 am

বারডেম জেনারেল হাসপাতালে দুই রোগীর শরীরে ভয়াবহ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া বিরল ছত্রাকজনিত রোগ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বাংলাদেশের দুজনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে। তারা দুজনেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন। বারডেম জেনারেল হাসপাতালে দুই রোগীর শরীরে এই ছত্রাক সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এদের একজনের বয়স ৪৫ ও আরেকজনের ৬০ বছর।
বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়।

বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, আমাদের ল্যাবে দুজনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সব বয়সী মানুষের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি না থাকায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। করোনা ও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী, যারা স্টেরয়েড নিচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত অথবা যারা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন, তারা সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে ব্ল্যাক ফাংগাস। আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ-মুখ ফুলে ওঠে। নাকের ভেতর ও জিহ্বায় পড়ে কালো দাগ। অনেক ক্ষেত্রে জ্বরও দেখা দেয়। প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হলে রোগ সারে। চোখ আক্রান্ত হলে অনেক ক্ষেত্রে অন্ধত্বের শিকার হয় রোগী। আর ছত্রাক মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়লে রোগীকে বাঁচানো যায় না। ভারতে এই রোগে আক্রান্তদের ৫০ ভাগই মারা গেছেন। অথচ করোনায় মৃত্যুহার দুই শতাংশের বেশি নয়।

ভারতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ২০০ জনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, যেসব কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে।