জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘর ভাঙচুরের পর জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়। আর এ ঘটনায় থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সহায়তা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। নাগেশ্বরী উপজেলার সাতানী পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা (মৃত) আজগর আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে এমন অভিযোগ তোলা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেওয়া অভিযোগ করেন, ভুয়া দানপত্র ও ভুয়া দলিল নিয়ে দীর্ঘদিন সন্ত্রাসীরা আমাদের বসতবাড়ি ও জায়গা জমি দখল করার চেষ্টা করে আসছে। গত বছর ৮ জুন সন্ধ্যায় ১৫-২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে মূল্যবান জিনিস লুটে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কন্ডাক্টর রনি, আলম পাটোয়ারী, কুদ্দুস আলী, ডাক্তার জলিল, ডিস ব্যবসায়ী আমিনুল ও রুস্তম মেম্বারসহ এলাকার আরও কয়েকজন প্রভাবশালী রয়েছে। সুফিয়ার ভাষ্যমতে, সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ভাঙচুর করার পর এলাকাবাসী বিষয়টি মীমাংসা করতে চাইলেও পারেনি। পরে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানালে তারাও কোনো সুরাহা করতে পারেনি। সুফিয়া বেওয়া আরও বলেন, আমরা ৫৬ শতক জায়গা ও বসতবাড়ি হারিয়ে এখন কয়েকটি টিন দিয়ে তৈরি ছাপড়া ঘরে দিনাতিপাত করছি। দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে আমার। মৃত আজগর আলীর ছোট মেয়ে নাজমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমরা এ ঘটনায় নাগেশ্বরী থানায় অভিযোগ করলেও থানা থেকে সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেওয়ায় আমরা সুবিচার পাইনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানানোর পর সেখান থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্তের নির্দেশ দিলেও অজানা কারণে সেটাও থেমে যায়। নাজমা আরও বলেন, আমরা আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এই মুহূর্তে তিনি ছাড়া আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি