October 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 31st, 2022, 7:40 pm

বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও পরিবার

অনলাইন ডেস্ক :

করোনাভাইরাসের টিকাবিরোধী বিক্ষোভের কারণে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডে ও তার পরিবারের সদস্যরা রাজধানী অটোয়াতে তাদের বাসভবন ছেড়ে গেছেন। আশ্রয় নিয়েছেন গোপন এক অবস্থানে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। গত শনিবার মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট হিলে কয়েক হাজার মানুষ টিকাবিরোধী বিক্ষোভ করে। ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্তঃসীমান্ত ট্রাকচালকদের বাধ্যতামূলক টিকার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা ট্রুডো সরকারের করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের বিরোধিতা করে। গত শনিবার কয়েক হাজার ট্রাকচালক এবং অন্য বিক্ষোভকারী ক্যাপিটাল সিটিতে জড়ো হন। তারা বাধ্যতামূলক টিকা বন্ধ ও অন্য সরকারি স্বাস্থ্যগত বিধিনিষেধের ইতি টানার দাবি তোলেন। এ খবর জানায় কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (সিবিসি)। ওদিকে দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকা বলছে, বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে বেশ কিছু শিশু, যুবক, বয়স্ক মানুষ এবং বিকলাঙ্গ। তাদের কারো কারো হাতে দেখা যায় আগ্রাসী মন্তব্য লেখা চিহ্ন। এসব কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে সরাসরি আক্রমণ করে লেখা। এর মধ্যে আছে আপত্তিকর সব মন্তব্যও। কিছু বিক্ষোভকারীকে দেখা গেছে সুপরিচিত যুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিস্তম্ভ বা মেমোরিয়ালের ওপরে উঠে নাচছে। এ কারণে কানাডার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ওয়েনে আইর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনীতা আনন্দ নিন্দা জানিয়েছেন। পার্লামেন্টের আশপাশে তীব্র শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এজন্য পুলিশকে রাখা হয়েছে উচ্চ সতর্ক অবস্থায়। জেনারেল ওয়েনে আইর টুইটে বলেছেন, টোম্ব অব দ্য আননোন সোলজার এবং ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের ওপরে উঠে বিক্ষোভকারীরা নাচছে। এটা দেখে আমি পীড়িত হয়েছি। আমাদের কথা বলার স্বাধীনতাসহ অধিকার আদায়ের জন্য কানাডার অনেক প্রজন্ম লড়াই করেছে এবং তাদের অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদেরকে অবমাননা করা হয়েছে এ ঘটনায়। যারা এসব করছে লজ্জায় তাদের মাথা নত করে রাখা উচিত। নিন্দা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনীতা আনন্দ। তিনি বলেছেন, যে আচরণ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি তা নিন্দনীয়। আমার দেশে টোম্ব অব দ্য আননোন সোলজার এবং ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল হলো পবিত্র স্থান। যারা কানাডার জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য আমি সব কানাডিয়ানের প্রতি আহ্বান জানাই।