December 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, December 26th, 2023, 8:46 pm

বিজিবি-সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আরও শান্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামবে বিজিবি। এরপর নামবে সেনাবাহিনী। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি আরও শান্ত ও সুন্দর হবে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সহিংসতার বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সবসময় মনিটর করছে। যাকে মনে করছে বদলাতে হবে, আমাদের কাছে লিস্ট পাঠাচ্ছে, তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। এটা নির্বাচন কমিশন সবসময় করে, সেই অনুযায়ী করে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিজিবি মাঠে চলে আসবে, বিজিবির পর সেনাবাহিনীও চলে আসবে। কাজেই যেসব বিষয়ে আপনারা আশঙ্কা করছেন, কিংবা যা দেখছেন, সেই পরিস্থিতি আরও শান্ত হয়ে যাবে। আরও সুন্দর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’

এবার সেনাবাহিনী ১৩ দিন মাঠে থাকার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এটার কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি দল যে ধরনের সহিংসতা করছে। তারা নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এদেশের মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করে না। আমাদের নির্বাচন কমিশনার তারপরও নির্বাচন আরও নিরাপদ করার জন্য এ ব্যবস্থাটা নিয়েছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা চাচ্ছে। পুলিশ এটা চূড়ান্ত করলেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ বা কেন্দ্র আছে কি না- সেটি তারা জানতে চেয়েছেন। পুলিশ আজকের মধ্যেই করে ফেললে সেটি সন্ধ্যার মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসলে একটা উত্তেজনা, আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যার যার প্রার্থীকে জয়ী করতেই হবে, এরকম একটা ভাব চলে আসে প্রার্থী ও সমর্থকদের। সেই সময় বাগবিতণ্ডাও হয়। এখন পর্যন্ত সবকিছু নজরদারিতে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। ভবিষ্যতে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। দু-একটি ঘটনা যে ঘটে গেছে, জড়িতদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরেক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আসলে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নেতা-কর্মীরা তাদের প্রার্থীকে পাস করানোর জন্য হয়তো অনেক কিছু করেন। প্রার্থীরা নিজেরাও হয়তো জানেন না, এমন ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে নতুন যারা আসছেন তাদের মধ্যে আচরণবিধি ভাঙার হার অনেক বেশি।’

—–ইউএনবি