October 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 22nd, 2021, 7:43 pm

‘বিতর্কিত’ সব পোস্ট মুছে দিলেন শবনম ফারিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সাবেক স্বামী অপুকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই বিতর্ক গড়িয়েছিল পরিবার পর্যায়ে। অপুর মামাও পুরো বিষয়টি নিয়ে সোমবার একটি পোস্ট দেন। এরপর শবনম ফারিয়া নিজের ফেসবুক থেকে ওই বিতর্কিত পোস্টগুলো মুছে দিয়েছেন। বিচ্ছেদের প্রায় এক বছর পর এক ফেসবুক পোস্টে সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপুর বিরুদ্ধে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। ‘স্বামীর নির্যাতনে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেছেন ‘দেবী’ চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী। একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ অপুর সঙ্গে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদলের পর ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ফারিয়া; এর এক বছর ১০ মাসের ব্যবধানে ২০২০ সালের নভেম্বরে দাম্পত্যজীবনের ইতি টানেন তারা। অপু ওই বিষয়ে কথা বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। বিষয়টি নিয়ে তর্ক বাড়তেই থাকে। একপর্যায়ে ফারিয়া নিজেও বলেন, হাতাহাতিতে আঙুল ভেঙে যায়, এবং ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর সোমবার রাতে অপুর মামা পরিচয়দানকারী জুয়েল নামের একজন পোস্ট দিয়ে ফারিয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ তোলেন। ওই অভিযোগে ফারিয়াকে লোভী ও অর্থলিপ্সু হিসেবে অভিযোগ তোলেন। লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে ফারিয়া- উল্লেখ করে অপুর মামা জুয়েল বলেন, ‘আমার দুলাভাইয়ের মৃত্যুর পর আপা একা হয়ে পড়ায় নিজের বাড়িতে না থেকে অন্য বোনদের কাছাকাছি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ফারিয়া অপুদের তিন বেডরুমে ভাড়া থাকার কথা উল্লেখ করে লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তবে অপুর উত্তরাধিকার সূত্রে যা আছে, তার যতটা সে জানে তা উল্লেখ করা উচিত ছিল। যা-ই হোক, বিয়ের পর ফারিয়া তার মাসহ অপুকে নিয়ে আলাদা থাকতে চেয়েছিল, যাতে আমরা কেউ দ্বিমত করিনি। বিয়ের কেনাকাটা থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত ফারিয়া যা চেয়েছে, যেভাবে চেয়েছে, যেভাবে অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছে, আমার আপা তাই দিয়েছেন। যখন চেয়েছে ইন্ডিয়া গেছে, ব্যাংকক গেছে। কখনো প্রশ্ন করা হয়নি কেন বা কোথায় টাকা খরচ হবে!’ শবনম ফারিয়া সর্বশেষ স্ট্যাটাসে বলেন, ‘নিউজে আমার নামের সঙ্গে যার নাম বারবার আসছে তিনি বিষয়টা অস্বীকার করছেন আর এত বছর পর যেহেতু কথা উঠছে, তখন বিষয়টা প্রমাণ করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। কিন্তু হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ কিংবা বিল কার কার্ড থেকে পরিশোধ হয়েছে, সেগুলো বের করার সুযোগ এখনো আছে। কিন্তু যেহেতু সেই ব্যক্তির মা কল করলে আমি তাকে এখনো ‘মা’ ছাড়া অন্য কিছু ডাকতে পারি না, তাই মা এবং আমার নিজের সম্মান রক্ষার্থে বিষয়টা এখানেই শেষ করতে চাই!’ সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ফারিয়া সর্বশেষ পোস্ট দিয়ে জানান, কয়েক দিন ধরে চলা কাদা ছোড়াছুড়ির বিষয়টি পারিবারিকভাবে সুরাহা হয়েছে। এবং আগের পোস্টগুলো তিনি মুছে দিয়েছেন। এরপর ফারিয়া নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ‘শীতনিদ্রা’ করে রাখেন।