অনলাইন ডেস্ক :
২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর জার্মানিতে প্রথম নারী চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। পরবর্তী ১৬টি বছর তিনি দেশটির অবস্থান, সমৃদ্ধি, প্রভাব ও নানাবিধ সঙ্কট মোকাবেলা করে জার্মানিকে ইউরোপের মধ্যে প্রভাবশালী একটি রাষ্ট্রের মর্যাদায় নিয়ে যান। ৬৭ বছর বয়সে দায়িত্ব ছাড়ার সময় মার্কেল তাই নিজ দেশ ও বিদেশ থেকে পেয়েছেন প্রশংসা ও জনপ্রিয়তাও গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা ছাড়েন জার্মানির সফলতম চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তার স্থানে নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৬৩ বছর বয়সী রাজনীতিক ওলাফ শোলজ। এর মধ্য দিয়ে মার্কেলের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনের ইতি ঘটল। ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা ওলাফ শোলজের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কেল। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনি খুবই অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। আমার ইচ্ছে চ্যান্সেলরের পদে অসীন হয়ে আপনি আমাদের দেশের স্বার্থ উদ্ধারে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।’ নতুন চ্যান্সেলরের শপথ অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠানস্থল থেকে নিজের ব্যবহৃত অডি গাড়িতে করে বিদায় নেন মার্কেন। এ সময় তাকে তালি দিয়ে বিদায় জানাতে দেখা যায় তার এক সময়ের সহকর্মীদের। এ ছাড়া মার্কেলকে দেখতে সে সময় অনুষ্ঠান স্থলের বাইরে প্রচুর সংখ্যক মানুষকে জড়ো হন। আফগানিস্তান থেকে অভিবাসী হিসেবে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া সুলাইমান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মার্কেলের ‘ভক্ত’ উল্লেখ করে বলেন, ‘মার্কেল ছিলেন এই শতাব্দির একজন দেবদূত।’ ৩০ বছর বয়সী এনরিক ভেলাজকো বলেন, ‘আমি শেষবারের মতো চ্যান্সেলর মার্কেলকে দেখতে এসেছি। তিনি ইউরোপ এবং জার্মানিসহ বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করেছেন। আমি তাকে খুবই পছন্দ করি। কারণ তিনি বাস্তববাদী একজন নারী। আমার তার জন্য খারাপ লাগছে।’ সূত্র: এনিডিটিভি, ভয়েজ অব আমেরিকা।
আরও পড়ুন
ক্রিমিয়া ব্রিজের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে রাশিয়া
সুদানে বন্যায় ৭৭ জনের মৃত্যু
অ্যামাজনের শীর্ষ বই বিক্রির তালিকায় রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’